WBSEDCL নতুন সিস্টেমকে বেকার ট্যাগ সাধারণ মানুষের! এখন থেকে দেখা যাবে না কোনো Negative Bill

Last Updated on October 22, 2025 by admin

সম্প্রতি WBSEDCL (West Bengal State Electricity Distribution Company Limited) তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ইলেকট্রিক বিল পেমেন্টের পুরো প্রক্রিয়াটিই বদলে ফেলেছে। আগে যেখানে অনলাইন পেমেন্টের জন্য কিছু নির্দিষ্ট ধাপ অনুসরণ করতে হতো, এখন সেখানে নতুন কিছু অপশন ও নিয়ম যোগ হয়েছে। অনেকেই হঠাৎ করে নতুন সিস্টেম দেখে বিভ্রান্ত হচ্ছেন। তাই আজকের এই ব্লগে সহজ ভাষায় বুঝে নিন নতুন বিল পেমেন্ট সিস্টেমের সমস্ত দিক।

নতুন ড্যাশবোর্ড ও অপশন

WBSEDCL-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ঢোকার পর আগের মতোই মূল ড্যাশবোর্ড দেখা যায়। কিন্তু অনলাইন পেমেন্ট বাটনে ক্লিক করলেই বোঝা যায় পরিবর্তনটা কোথায় হয়েছে। “Quick Pay” অপশনটি আগের মতোই আছে, তবে এর ভেতরে এখন চারটি নতুন ক্যাটেগরি যোগ করা হয়েছে—

  1. Quotation Payment
  2. Postpaid Energy Bill
  3. Smart Prepaid
  4. Offline Prepaid

এদের মধ্যে “Postpaid Energy Bill” অপশনটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি সেই গ্রাহকদের জন্য যাদের সাধারণ মাসিক বা ত্রৈমাসিক বিল বাড়িতে আসে।

বিল পেমেন্ট প্রক্রিয়ার নতুন ধাপ

Postpaid Energy Bill-এ ক্লিক করার পর কনজিউমার নম্বর ও ক্যাপচা দিয়ে সাবমিট করলে সমস্ত বিল সংক্রান্ত তথ্য চলে আসে। যেমন— গ্রাহকের নাম, এলাকার নাম, কনজিউমার টাইপ ইত্যাদি। তবে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন হলো, এখন আর স্ক্রিনে বিলের মোট পরিমাণ বা নির্দিষ্ট মাসের ডিউ অ্যামাউন্ট দেখা যায় না। আগে যেমন পার্ট পেমেন্ট করা যেত—যেমন ৯০০ টাকার মধ্যে ৩০০ টাকা বা ৬০০ টাকা পরিশোধ—সেই সুবিধাটা এবার পুরোপুরি তুলে দেওয়া হয়েছে।

এখন নতুন সিস্টেমে মিনিমাম ৫০ টাকা এবং ম্যাক্সিমাম ১ লাখ টাকা পর্যন্ত পেমেন্ট করা যায়। অর্থাৎ বিল যতই হোক না কেন, ৫০ টাকার নিচে কোনো পেমেন্ট করা যাবে না। যেমন, যদি কারো বিল হয় ২৫ টাকা, তবুও তাঁকে কমপক্ষে ৫০ টাকা দিতে হবে। ফলে অতিরিক্ত যে টাকা পরিশোধ করা হবে, সেটা পরবর্তী বিলের সঙ্গে অ্যাডজাস্ট হবে কিনা, সেই ব্যাপারে এখনও কোনো পরিষ্কার তথ্য দেওয়া হয়নি।

পেমেন্ট মোড ও রিসিট সিস্টেম

পেমেন্টের জন্য এখন “BillDesk” গেটওয়ে ব্যবহৃত হচ্ছে। এখানে UPI, QR Code, বা অন্যান্য ডিজিটাল মোডে বিল পরিশোধ করা যায়। পেমেন্ট সফল হলে সঙ্গে সঙ্গে রিসিট জেনারেট হয়, যা আগের মতোই প্রিন্ট করা যায়। তবে নতুন সমস্যাটি হলো, “View Payment Receipt” অপশনটি ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুনরায় রিসিট ডাউনলোড করতে হলে “Quick Pay” → “Payment History” অপশন থেকে কনজিউমার আইডি দিয়ে প্রসিড করতে হবে।

ডিউ তারিখ ও অ্যামাউন্ট সংক্রান্ত বিভ্রান্তি

নতুন সিস্টেমে আরেকটি বড় অসুবিধা হলো— যদি কোনো গ্রাহকের বিলের ডিউ তারিখ পেরিয়ে যায়, তাহলে বিলের পরিমাণ বেড়ে কত হয়েছে সেটা দেখা যাচ্ছে না। যেমন, হাজার টাকার বিল ডিউ তারিখ পেরিয়ে ১০৫০ টাকা হয়ে গেলেও ওয়েবসাইটে সেটি আপডেট হচ্ছে না। ফলে গ্রাহক ঠিক বুঝে উঠতে পারছেন না, কত টাকা পেমেন্ট করা উচিত।

ভবিষ্যতের সম্ভাব্য আপডেট

ভিডিও নির্মাতার মতে, এই সিস্টেমটি একেবারে নতুনভাবে লঞ্চ হয়েছে, তাই অনেক ফিচার এখনো সঠিকভাবে কাজ করছে না। ভবিষ্যতে WBSEDCL হয়তো পার্ট পেমেন্ট বা বিল অ্যাডজাস্টমেন্টের মতো ফিচারগুলো আবার যোগ করবে। বর্তমানে কিছু থার্ড-পার্টি অ্যাপ (যেমন Google Pay, PhonePe, Spice Money) দিয়েও বিল পেমেন্ট করা যাচ্ছে না—কারণ দেখাচ্ছে “Unscheduled Downtime”।

উপসংহার

WBSEDCL-এর নতুন বিল পেমেন্ট সিস্টেমে অনেক আধুনিক সুবিধা যোগ হলেও কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফিচার সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা সাধারণ গ্রাহকদের অসুবিধায় ফেলছে। বিশেষ করে পার্ট পেমেন্ট ও ডিউ অ্যামাউন্ট দেখা না যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে বেশ সমালোচনা হচ্ছে। তবে এটি যেহেতু সদ্য আপডেট হওয়া প্ল্যাটফর্ম, আশা করা যায় খুব শীঘ্রই WBSEDCL এই সমস্যাগুলোর সমাধান আনবে। ততদিন পর্যন্ত কনজিউমারদের পরামর্শ—পেমেন্ট করার আগে সব তথ্য ভালোভাবে যাচাই করে নিন।

Leave a Comment